যুগ নির্মাণ जिसे লক্ষ্য করে গায়ত্রী পরিবার তার নিষ্ঠা এবং তৎপরতার সাথে এগিয়ে চলেছে, তার বীজ হল সৎসঙ্কল্প। সেই ভিত্তিতেই আমাদের সমস্ত চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা, কর্মকাণ্ড এবং কার্যক্রম পরিচালিত হয়, একে আমাদের ঘোষণাপত্রও বলা যেতে পারে। আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন সকালে একটি ধর্মীয় কর্তব্যের মতো এটি নিয়মিতভাবে পড়া উচিত এবং সামूहিক শুভ অনুষ্ঠানে একজন উচ্চারণ করবেন এবং বাকি সকলে তাকে অনুসরণ করে পড়বেন।
আজ প্রত্যেক চিন্তাশীল ব্যক্তি এই অভিজ্ঞতা করেন যে মানবীয় চেতনায় সেইসব দুর্গুণ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে অশান্তি এবং বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্যভাবেই অনুভূত হয়, কিন্তু এই কাজ কেবল আকাঙ্ক্ষা মাত্রে পূর্ণ হবে না, এর জন্য একটি নির্দিষ্ট দিক নির্ধারণ করতে হবে এবং তার জন্য সক্রিয়ভাবে সংগঠিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি ছাড়া আমাদের ইচ্ছা কেবল একটি কল্পনা হিসেবেই থেকে যাবে। যুগ নির্মাণ সৎসঙ্কল্প সেই দিকেই একটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ। এই ঘোষণাপত্রে সমস্ত ভাবনা ধর্ম এবং শাস্ত্রের আদর্শ ঐতিহ্য অনুযায়ী একটি সুবিন্যস্ত পদ্ধতিতে সহজ ভাষায় সংক্ষিপ্ত শব্দে বর্ণনা করা হয়েছে এবং চিন্তা করুন এবং এটি নিশ্চিত করুন যে আমাদের জীবনকে এই কাঠামোতেই ঢেলে সাজাতে হবে। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার পরিবর্তে এই সঙ্কল্পপত্রে আত্ম-নির্মাণের উপর সম্পূর্ণ মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে। অন্যকে কিছু করার জন্য বলার সবচেয়ে কার্যকর উপায় একটাই, যে আমরা নিজেরাই তা করতে শুরু করি। নিজের নির্মাণই যুগ নির্মাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। বিন্দু বিন্দু জলের মিলনেই সমুদ্র তৈরি হয়েছে। এক একজন ভালো মানুষ মিলেই ভালো সমাজ গড়ে উঠবে। ব্যক্তি নির্মাণের ব্যাপক রূপই যুগ নির্মাণ রূপে প্রতিফলিত হবে।
প্রদত্ত যুগ নির্মাণ সৎসঙ্কল্পের ভাবনার স্পষ্টীকরণ এবং বিশ্লেষণ পাঠক এই বইয়ের পরবর্তী লেখাগুলিতে পড়বেন। এই ভাবনাকে গভীরভাবে যখন আমরা আমাদের অন্তঃকরণে ধারণ করব, তখন তার সামগ্রিক রূপ একটি যুগ আকাঙ্ক্ষা হিসেবে প্রকাশ পাবে এবং তার পূরণের জন্য অনেক দেবতা, অনেক মহামানব, নর তনে নারায়ণ রূপ ধারণ করে আবির্ভূত হবেন। যুগ পরিবর্তনের জন্য যে অবতারের প্রয়োজন, তিনি প্রথমে আকাঙ্ক্ষা রূপেই অবতীর্ণ হবেন। এই অবতারেরই সূক্ষ্ম রূপ হলো এই যুগ নির্মাণ সৎসঙ্কল্প, এর গুরুত্ব আমাদের গভীরভাবেই মূল্যায়ন করা উচিত। যুগ নির্মাণ সৎসঙ্কল্পের খসড়া নিম্নরূপ।
1. আমরা ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী, ন্যায়পরায়ণ মেনে তার অনুশাসনকে আমাদের জীবনে অনুসরণ করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান এবং আমাদের উপর নজর রাখেন। তাই আমাদের জীবনে তার শিক্ষা এবং অনুশাসন পালন করা উচিত। ঈশ্বরের ন্যায়কে স্বীকার করে জীবনে সত্য এবং শান্তি বয়ে আনা উচিত।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
ঈশ্বরের উপস্থিতি সর্বদা স্মরণ রাখুন এবং সঠিক কাজ করার চেষ্টা করুন।
-
প্রতিটি সিদ্ধান্ত এবং কাজে ঈশ্বরের অনুশাসনকে স্মরণে রেখে নিষ্কলঙ্ক নিয়তে কাজ করুন।
-
সত্যের পথ অনুসরণ করুন, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন।
-
নিজেকে সংশোধন করার জন্য আত্মচিন্তন করুন এবং এই বিশ্বাস নিয়ে জীবনযাপন করুন যে প্রতিটি কাজে ঈশ্বর আমাদের সাথেই আছেন।
2. শরীরকে ভগবানের মন্দির মনে করে আত্ম-সংযম এবং নিয়মিততার মাধ্যমে आरোগ্য রক্ষা করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের শরীর ঈশ্বরের মন্দির, তাই একে সুস্থ রাখা এবং শরীরের প্রতি সংযমী হওয়া আমাদের দায়িত্ব। পরিচ্ছন্নতা, ব্যায়াম, সুষম খাদ্য, এবং সঠিক সময়ে বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারি।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে আহার করুন এবং বিশুদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
-
নিয়মিত ব্যায়ামকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন।
-
ভালো ঘুম ঘুমান, যাতে শরীর এবং মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।
-
মন্দ অভ্যাস যেমন ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।
-
সময়ে সময়ে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
3. মনকে কুচিন্তা এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবনা থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাধ্যায় এবং সৎসঙ্গের ব্যবস্থা রাখব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের মনে বিশুদ্ধ এবং ইতিবাচক চিন্তা থাকা উচিত। এর জন্য আমাদের ভালো বইয়ের অধ্যয়ন (স্বাধ্যায়) এবং সৎ ব্যক্তিদের সাথে সময় কাটানো (সৎসঙ্গ) উচিত।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট ইতিবাচক বই পড়ুন অথবা ধ্যান করুন।
-
সৎসঙ্গে অংশগ্রহণ করুন এবং ভালো চিন্তাভাবনা দিয়ে আপনার মনকে পুষ্ট করুন।
-
কুচিন্তা দূর করার জন্য নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন।
-
দিনে কমপক্ষে কিছু সময় শান্তিতে কাটান, যাতে আপনার মন সুষম এবং ইতিবাচক থাকে।
4. ইন্দ্রিয় সংযম, অর্থ সংযম, সময় সংযম এবং চিন্তা সংযমের सतत অভ্যাস করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের ইন্দ্রিয়, সময়, অর্থ, এবং চিন্তার উপর সংযম রাখা প্রয়োজনীয়। এতে জীবনে ভারসাম্য এবং সমৃদ্ধি আসবে।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
নিজেকে ইন্দ্রিয়সুখে লিপ্ত হতে দেবেন না। উদাহরণস্বরূপ, অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
-
আপনার সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন, কোনও কাজই অবিবেচনাপ্রসূতভাবে করবেন না।
-
অর্থ কেবল প্রয়োজনীয় কাজেই ব্যয় করুন, কেবল বস্তুগত সুখের জন্য অপচয় করবেন না।
-
আপনার চিন্তাধারার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন, নেতিবাচক চিন্তা থেকে বিরত থাকুন এবং সর্বদা ইতিবাচক চিন্তা করুন।
5. নিজেকে সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মনে করব এবং সকলের हितে নিজের হিত মনে করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা নিজেদেরকে সমাজের অংশ মনে করি, এবং তাই সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করা আমাদের কর্তব্য। অন্যের মঙ্গলেই আমাদের মঙ্গল।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
সমাজে কোনও অসমতা বা অন্যায় দেখলে চুপ থাকবেন না।
-
সামूहিক কাজে অংশগ্রহণ করুন এবং অন্যদের সাহায্য করুন।
-
কোনও जरूरतमंद ব্যক্তিকে সাহায্য করুন, তা সময়, শক্তি বা অর্থ যা-ই হোক।
-
সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য আপনার কর্তব্য পালন করুন।
6. মर्याদা পালন করব, বর্জনীয় বিষয়গুলি থেকে বিরত থাকব, নাগরিক কর্তব্য পালন করব এবং সমাজ অনুগত থাকব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা মर्याদা এবং সামাজিক নিয়ম পালন করব। সমাজের নিয়ম লঙ্ঘন করা উচিত নয়।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
আপনার কর্তব্য পালন করুন, যেমন নির্বাচনে ভোট দেওয়া, আইন মেনে চলা ইত্যাদি।
-
সামাজিক মर्याদা পালন করুন, যেমন শৃঙ্খলা, সম্মান, এবং शिष्टाचार বজায় রাখুন।
-
কোনও ভুল কাজ দেখলে চুপ থাকবেন না, তার প্রতিবাদ করুন।
-
আপনার আচরণ এবং কার্যকলাপে সমাজের हित মনে রাখবেন।
7. বুদ্ধিমত্তা, সততা, দায়িত্ববোধ এবং সাহসিকতাকে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মনে করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ বুদ্ধিমত্তা, সততা, দায়িত্ববোধ এবং সাহসিকতার উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
প্রতিটি সিদ্ধান্তে বুদ্ধিমত্তার পালন করুন।
-
যে কোনও পরিস্থিতিতে সৎ থাকুন, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন।
-
আপনার দায়িত্ব পালন করার জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা করুন।
-
সাহসী কাজ করুন, যেমন সমাজে সংস্কার আনার জন্য কণ্ঠ তোলা।
8. চারিদিকে মধুরতা, পরিচ্ছন্নতা, সরলতা এবং সজ্জনতার বাতাবরণ সৃষ্টি করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের কার্যকলাপ এবং আচরণ থেকে একটি ইতিবাচক, বিশুদ্ধ এবং সজ্জনতার বাতাবরণ তৈরি হওয়া উচিত।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
প্রতিদিন যার সাথেই দেখা হোক, তাদের অভ্যর্থনা করুন মুখে হাসি এবং ভদ্রতার সাথে।
-
আপনার বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
-
সরলতাতেই সৌন্দর্য, এই বিষয়টি বুঝুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার জীবন যাপন করুন।
-
সজ্জনতার সাথে আচরণ করুন এবং কারও মন আঘাত করবেন না।
9. অন্যায় থেকে প্রাপ্ত সাফল্যের চেয়ে নীতি মেনে চলার মাধ্যমে ব্যর্থতাকে গ্রহণ করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা বিশ্বাস করি যদি সাফল্য ভুল পথে প্রাপ্ত হয় তবে তা কোনও সাফল্য নয়। আমাদের সততার সাথে কাজ করা উচিত, ব্যর্থতা আসলেও।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
কোনও পরিস্থিতিতেই প্রতারণা করবেন না।
-
আপনার কার্যকলাপে সততা এবং নীতি বজায় রাখুন।
-
ব্যর্থতা থেকে ভয় পাবেন না, বরং তাকে শিক্ষা এবং সংশোধনের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন।
10. মানুষের মূল্যায়নের মাপকাঠি তার সাফল্য, যোগ্যতা এবং বিভূতি নয়, তার সদ্বিচার এবং সৎকর্মকে মনে করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা কারও সাফল্য বা সম্পদ দিয়ে নয়, বরং তার ভালো চিন্তা এবং ভালো কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করব।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
আপনার ব্যক্তিগত জীবনে অন্যদের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ করুন।
-
কারও সাফল্যের ভিত্তিতে তাকে বিচার করবেন না।
-
আপনার চিন্তা এবং কর্ম সঠিক দিকে রাখুন যাতে সমাজে অবদান রাখতে পারেন।
11. অন্যদের সাথে সে রকম আচরণ করব না, যা আমরা নিজের জন্য পছন্দ করি না।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা অন্যদের সাথে তেমন আচরণ করব যেমন আমরা নিজেদের জন্য চাই।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
কারও সাথে কখনও কঠোর, অসম্মানজনক বা মিথ্যা বলবেন না।
-
যখন কারও সাথে কথা বলবেন, তখন তাকে সম্মান করুন এবং তাকে বোঝার চেষ্টা করুন।
-
সবসময় ভালো এবং ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করুন।
12. পুরুষ-নারী পরস্পর বিশুদ্ধ দৃষ্টি রাখবেন।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা পুরুষ এবং মহিলা উভয়কে সমান দৃষ্টিতে দেখব, তাদের সম্মান করব।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
মহিলা এবং পুরুষ উভয়কেই সমান ভাবে দেখুন, কেবল ভোগের বস্তু হিসেবে নয়।
-
সমাজে মহিলাদের অধিকারের প্রতি সমর্থন করুন এবং তাদের সম্মান করুন।
13. পৃথিবীতে সৎ প্রবণতার পুণ্য বিস্তারের জন্য আমাদের সময়, প্রভাব, জ্ঞান, পুরুষার্থ এবং ধনের এক অংশ নিয়মিত ভাবে ব্যয় করব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের উদ্দেশ্য শুধু ব্যক্তিগত সুখ নয়, বরং সমাজে ভালো এবং পুণ্যের বিস্তার করা।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
সময়, অর্থ এবং অন্যান্য সম্পদের কিছু অংশ সমাজ सेवाয় ব্যয় করুন।
-
সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।
14. ঐতিহ্যের চেয়ে বিবেচনাকে গুরুত্ব দেব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা কোনও ঐতিহ্য শুধুমাত্র এই কারণে গ্রহণ করব না যে তা ঐতিহ্য, বরং তাকে যুক্তি এবং বিবেচনা দিয়ে গ্রহণ করব।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
ঐতিহ্য পালন করার সময় তাদের উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব বুঝুন।
-
বিবেচনা প্রসূত কাজ করুন এবং অন্ধবিশ্বাস থেকে বিরত থাকুন।
15. সৎ লোকদের সংগঠিত করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং নতুন কিছু তৈরির কার্যকলাপে পূর্ণ আগ্রহ রাখব।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা ভালো মানুষদেরকে একত্রিত করব এবং নতুনত্ব এবং সংস্কার আনার জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা করব।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
ভালো কাজে অংশগ্রহণ করুন এবং নেতিবাচকতার বিরোধিতা করুন।
-
নতুন চিন্তা এবং সংস্কারের দিকে পদক্ষেপ নেব।
16. জাতীয় ঐক্য এবং সমতার প্রতি নিষ্ঠাবান থাকব। জাতি, লিঙ্গ, ভাষা, প্রদেশ, সম্প্রদায় ইত্যাদির কারণে পরস্পর কোনও বৈষম্য করব না।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা সকল মানুষ এক সমান, এবং আমাদের সকলের সাথে সমান আচরণ করা উচিত।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
বৈষম্য থেকে বিরত থাকুন এবং সমতার পালন করুন।
-
সমাজে ঐক্য বজায় রাখার জন্য কাজ করুন।
17. মানুষ নিজের ভাগ্যের স্রষ্টা, এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আমাদের মত হলো আমরা উৎকৃষ্ট হব এবং অন্যদের উৎকৃষ্ট করব, তাহলেই যুগ বদলাবে।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমরা আমাদের জীবনের স্রষ্টা, এবং যদি আমরা নিজেদের উন্নত করি এবং অন্যদের সাহায্য করি তাহলে যুগে পরিবর্তন আসবে।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
নিজেকে নিরন্তর উন্নত করার চেষ্টা করুন।
-
অন্যদের উন্নত হতে সাহায্য করুন এবং সমাজকে উন্নত করতে অবদান রাখুন।
18. ‘‘আমরা বদলাব- যুগ বদলাবে’’, ‘‘আমরা সংশোধন হব- যুগ সংশোধন হবে’’ এই বিষয়ে আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে।
অর্থ (বিস্তারিত):
আমাদের পরিবর্তন থেকেই সমাজ এবং যুগে পরিবর্তন আসবে। এই বিশ্বাস আমাদের আমাদের কর্তব্য পালন করতে प्रेरিত করে।
অনুকরণের পদ্ধতি:
-
নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করুন।
-
বিশ্বাস রাখুন যে ছোট ছোট ইতিবাচক পদক্ষেপ বড় পরিবর্তন আনবে।